দেহে প্রতিটি খাদ্য উপাদানের প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। আপনি অনেক দ্রুত ওজন কমাতে চান বলেই খাদ্যতালিকা থেকে ফ্যাট এবং কার্বোহাইড্রেট ঝেড়ে পুছে বাদ দিতে পারেন না। তেমনই কোনো কারণে খাদ্যতালিকা থেকে চাইলেই কোনো একটি খাদ্যউপাদানও বাদ দিতে পারেন না। যদি কোনো খাদ্য উপাদানে ঘাটতি পড়ে তাহলে সেই উপাদানের অভাবজনিত নানা রোগে ভুগতে হবে আপনাকে। এবং দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাটিও হারাতে হবে এর পাশাপাশি। প্রোটিন আমাদের দেহের মাংসপেশি গঠন, মস্তিষ্কের উন্নয়নে অনেক কার্যকরী। আপনার যদি নিয়মিত সঠিক পরিমাণে প্রোটিন খাওয়া না হয় তাহলে প্রোটিনের ঘটতি জনিত নানা সমস্যায় ভুগবেন আপনি যা পরবর্তীতে মারাত্মক আকার ধারণ করতে পারে। তাই অবহেলা নয় একেবারেই। কীভাবে বুঝবেন আপনার দেহে প্রোটিনের ঘটতি রয়ে যাচ্ছে? একটু নজর করলেই ধরে ফেলতে পারবেন বেশ ভালো করে। কারণ প্রোটিনের ঘটতি হলে শরীরে দেখা যায় নানা লক্ষণ। জানতে চান লক্ষণগুলো? চলুন জেনে নেয়া যাক।
১) আপনি অতিরিক্ত মিষ্টি জাতীয় খাবার খেতে থাকবেন
প্রোটিনের অন্যতম প্রধান কাজ হচ্ছে দেহের সুগারের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখা। যখন এর ঘাটতি পড়বে আপনার দেহে তখন আপনার মস্তিষ্কে সিগন্যাল যাবে চিনি জাতীয় খাবার খাওয়ার ব্যাপারে। আর প্রয়োজনের তুলনায় একটু বেশিই মিষ্টি খাবার খুঁজবেন আপনি।
২) মস্তিষ্ক ধোঁয়াটে লাগবে
রক্তে সুগারের সঠিক মাত্রা আপনাকে একটি লক্ষ্য নির্দিষ্ট করতে সহায়তা করে এবং দ্বিধা ছাড়াই সিদ্ধান্ত গ্রহণের ব্যাপারটিতে সাহায্য করে। কিন্তু আপনার দেহে প্রোটিনের অভাব হলে সুগারের মাত্রা কমবে এবং আপনার দ্বিধার মাত্রা বাড়বে। এছাড়াও প্রোটিনকে বলা হয় মস্তিষ্কের খাদ্য। যখনই এ ব্যাপারে ঘাটতি পড়বে আপনার মস্তিষ্ক স্বাভাবিক কাজ করতে বাঁধাগ্রস্থ হবে।
৩) অতিরিক্ত চুল পড়তে থাকবে
প্রোটিন চুলের ফলিকল মজবুত করতে সহায়তা করে। যখন অতিরিক্ত হারে চুল পড়তে থাকবে তখন বুঝবেন আপনার চুলের ফলিকল দুর্বল হয়ে পড়েছে যার অন্যতম প্রধান কারণ দেহে প্রোটিনের অভাব।
৪) দুর্বলতা অনুভব করা
আমরা সকলেই জানি প্রোটিন আমাদের দেহ গঠনের জন্য অত্যন্ত জরুরী মাংসপেশি গঠনের মূল উৎস। আপনি যখন প্রোটিনের অভাবে ভুগবেন তখন আপনার মাংসপেশিতে ঢিলে ভাব চলে আসবে এবং আপনি কোনো ধরণের পরিশ্রম ছাড়াই দুর্বলতা অনুভব করতে থাকবেন।
৫) বারবার অসুস্থ হয়ে পড়া
দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে প্রোটিন অনেক বড় ভূমিকা পালন করে থাকে। যখন এই প্রোটিনের ঘাটতি হয় দেহে তখন রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে আসে। যার ফলে ছোটোখাটো অসুস্থতা লেগেই থাকে। সুতরাং এইসকল ব্যাপারে সতর্ক দৃষ্টি রাখুন।